পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক এবং স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। 2014 এবং 2017 সালের পরে প্রায় পাঁচ বছর কোন টেট পরীক্ষা হয়নি রাজ্যে। অবশেষে ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় রাজ্যে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে হাজারের বেশি শূন্য পদে নিয়োগ করা হবে বলে স্কুল শিক্ষক পর্ষদের তরফে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিক টেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal primary education board)। গত মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো গিয়েছে যে, ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। যেসব প্রার্থীদের বয়স ৪০ বছর পেরিয়ে গেছে তারাও ইন্টারভিউতে (Wb tet interview) অংশ নিতে পারবেন যদি তারা ২০১৭ সালের টেট পাস করে থাকেন।
২০১৭ সালের পাস করে যাওয়ার টেট প্রার্থীরা বহুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। তারা অনেকেই দাবি করছিলেন যে তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ ইন্টারভিউ এর জন্য তাদের ডাকা হচ্ছে না। বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতেও হয়তো ইন্টারভিউ এর সুযোগ তারা পাবেন না। তাদের অভিযোগের দিকে খেয়াল রেখে পর্ষদ থেকে নতুন নিয়ম চালু করার কথা ভাবা হয়েছে।
৪০ উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বিশেষভাবে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে। ২০১৪ সালে যে সমস্ত পরীক্ষার্থীরা টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন তারা দুবার করে ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু 2017 সালের পাশ করে যাওয়া প্রার্থীরা এখনো একবারও ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পাননি। তাদের একটা বড় অংশের জন্য এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে প্রার্থীদের কাছে সুখবর বলেই ধরা হচ্ছে।
১২ ই মে, ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যাদের বয়স ৪০ পার হয়ে গেছে তাদেরকে এই বিশেষ সুযোগ দেওয়া হবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার পর তাদেরকে আলাদাভাবে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুনঃ
চলতি বছর 2022 সালে ১১ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। গত মঙ্গলবার থেকেই ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হচ্ছে। ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় ১১ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ করা হবে।
এখনো পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে প্রায় ২০০ জন চাকরি প্রার্থী ইন্টারভিউ এর জন্য অংশগ্রহণ করেছেন। ধাপে ধাপে বাকি উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিকে ৪০ বছর পার হয়ে যাওয়ার প্রার্থীরা ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পেয়ে আশার আলো দেখছেন।
0 মন্তব্যসমূহ
কোনোরকম জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে কমেন্ট করুন....